নুরুল কবির, বান্দরবন
বান্দরবানে গ্রাহকদের সঞ্চিত প্রায় কোটি টাকা ফেরত না দিয়ে পালানোর চেষ্টা ও এসব অর্থ লুটপাটের পাঁয়তার হিসেবে গোপন বৈঠক করার সময় শুক্রবার পুলিশ রাংগামাটির এনজিও সিসিডিআরের বান্দরবান জেলা শাখার ভারপাপ্ত ম্যানেজার রোয়াকা মারমা,মাঠকর্মী ববি বড়ুয়া এবং সীমা বিশ্বাসকে তাদের উজানিপাড়াস্থ অফিস থেকে আটক করেছে।
গ্রাহক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগে ওই তিনজন এনজি কর্মীক পুলিশ গ্রেফতার করতে সমর্থন হন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
গত সোমবার রাংগামাটি জেলা সদর থেকে এই এনজিও সিসিডিআরের চেয়ারম্যানসহ ৪জন কর্মকর্তা গ্রাহকদের প্রায় ৪কোটি টাকা নিয়ে পালানোর সময় গ্রেফতার হন পুলিশের হাতে।
এ ঘটনার পর পরই বান্দরবান জেলাতেও সিসিডিআরের গ্রাহকরা সজাগ হন এবং তারা নজর রাখেন এ সংস্থার কর্মকর্তাদের গতিবিধির ওপর। তারই অংশ হিসেবে গ্রাহকরা তাদের সঞ্চিত কোটি টাকা ফেরত পাবার লক্ষ্যে রাংগামাটি প্রধান অফিস এবং বান্দরবানে জেলা অফিসে শুক্রবার দলবদ্ধ হয়ে যান। গ্রহাকরা বান্দরবানে এ সংস্থার ম্যানেজারসহ তিনজন গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে গ্রাহকদের সঞ্চিত কোটি টাকা নিয়ে পালানোর প্রস্তুতি নেয়ার দৃশ্য অবলোকন করেন। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকরা বিষয়টি সদর থানায় অবহিত করলে পুলিশ দল শহরের উজানি পাড়া থেকে সংস্থার ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজারসহ তিনজনকর্মীকে গ্রেফতার করে।
বান্দরবান জেলা থেকে গত কয়েক বছরে পৃথকভাবে এনজিও কর্মকর্তারা আল-আমিন,সোশাল,প্রেরণা,জনসসেবাসহ ১২টি এনজিও প্রায় ৮-১০কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এসব বিষয়ে থানা ও আদালতে একাধিক মামলাও হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তরা। অবশ্যয় মামলার প্রেক্ষিতে সদর থানার ওসি মো.রফিক উল্লাহর উদ্যোগে এনজিও জনসেবা কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সঞ্চিত প্রায় ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে।
গুরুতর অভিযোগ রয়েছে- মাথাভারী প্রশাসন এবং সরকারি বিশেষ সংস্থাগুলোর দায়িত্বে চরম অবহেলা ও নজরদারীত্ব না থাকার সুযোগে এনজিওগুলো ফ্রিষ্টাইলেই হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জেলাবাসীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ফি বছরই।